জার্মান মহাকাশ প্রকৌশলী রুদিগার কোচ ১২০ দিন পানির নিচে কাটিয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন। পানামা উপকূলে একটি বিশেষ ক্যাপসুলের ভেতরে তিনি কোনো প্রকার চাপ ছাড়াই এই সময় অতিবাহিত করেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এই তথ্য জানিয়েছে।
ক্যাপসুলটি আধুনিক জীবনযাত্রার প্রয়োজনীয় সকল উপকরণ দিয়ে সজ্জিত ছিল। এতে ছিল টয়লেট, টেলিভিশন, বিছানা, কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট। সোলার প্যানেলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হতো, তবে ব্যাকআপ হিসেবে একটি জেনারেটরও রাখা হয়েছিল। ক্যাপসুলটি পানামার উত্তর উপকূল থেকে ১৫ মিনিট বোটে যাতায়াতের দূরত্বে অবস্থিত ছিল। ক্যাপসুলের ভেতরে গোসলের কোনো ব্যবস্থা না থাকলেও দৈনন্দিন অন্যান্য প্রয়োজন মেটানোর ব্যবস্থা ছিল।
রুদিগারের এই উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য ছিল সমুদ্রের গভীরতায় মানুষের টেকসই বসবাসের সম্ভাবনা পরীক্ষা করা। তিনি বলেন, "বিশ্বব্যাপী মানুষের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। তাদের আবাসন সমস্যা সমাধানের জন্য সমুদ্র একটি টেকসই বিকল্প হতে পারে।"
রেকর্ড নিশ্চিত করার জন্য গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস-এর বিচারক সুসানা রেইস উপস্থিত ছিলেন। ৩০ বর্গমিটারের ক্যাপসুল থেকে উঠে এসে রুদিগার তার এই অনন্য অর্জনের জন্য প্রশংসিত হন। এর আগে, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক জোসেফ দিতুরি ফ্লোরিডার একটি অগভীর হ্রদে ১০০ দিন কাটিয়ে এই রেকর্ড ধরে রেখেছিলেন। কিন্তু রুদিগার কোচ তার ১২০ দিনের মাধ্যমে নতুন এক মাইলফলক সৃষ্টি করলেন।